Friday was 93rd Abirbhab Dibas (Appearance day) of Sri Sri Madhava,
Absolute Avatari , to awaken mankind from their ignorancy, maya and
illusion and let them realise the Ultimate Truth in their life to make
their life worthwhile being born as Human being in true sense.
|| জয় মাধব নীলাঞ্জন ||
মাধব –স্ব্য়ং সম্পন্ন অবতারী, পরমচৈতন্য , মাধব স্বয়ং উৎস, তাঁর জগৎকে উৎসের সন্ধান দেওয়াতেই উৎসাহ, আর অন্য কিছুতে নেই | অবতারী একজনই হয়, তবে অবতার অনেক হতে পারে | যে অবতার ধর্মের রাখেন না কোন আকার, বিশ্বজনার, তিনিই অবতার তিনিই অবতারী| যে অবতার – অবতারী জাগ্রত, তিনি নিজেকে জীবের মধ্যে প্রতিফলিত করতে পারেন, বিকিরিত করতে পারেন |
১. মাধব কে? – যে মাতৃশক্তিকে ধপ করে জ্বালাতে পারে, নেভাতে পারে, তিনিই মাধব | তিনি মুহুর্তে সকলকে অন্তর্মুখী করে দিতে পারতেন | তাই নয় শুধু, এখন মাধব দেহে নেই, কিন্তু তাঁর বাণী আছে, ধ্বনি আছে, তাঁর শক্তি আছে | সেই শক্তির মধ্যে যারা আসছে তারা ধীরে ধীরে দেহের মধ্যে ডুব দিচ্ছে | তারা নিজেকে বিচার করছে, তাদের মধ্যে ভাব সঞ্চার হচ্ছে | যে ভাবের মধ্যে এই বিশ্বের মায়ারাজ্য থেকে তুলে এনে, ভাবরাজ্যে সেই মনকে যুক্ত করতে পারছে | অর্থাৎ বিশ্বে সব থেকে কঠিন, এই মনকে অন্তর্মুখী করা | অর্থাৎ সেই পরম ব্যতীত, সেই গুরুশক্তির প্রীতি ব্যতীত, বহির্প্রকৃতি থেকে অন্তর্প্রকৃতিতে প্রবেশ করা সম্ভব নয় | তাই “ গুরুকৃপাহি কেবলম”| সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, মুনি, ঋষি, ত্রিকালজ্ঞ ঋষি আদিরা ঈশ্বরভাবে পৌঁছাতে পারে | যারা ঈশ্বরভাবে পৌঁছায়ে, সে অভাব থেকে মুক্তি পায়, কিন্তু অন্য মানুষকে ভাবে নিয়ে অভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে না | সে ভাবে যাবার পথের উপদেশ, নির্দেশ দিতে পারে কিন্তু ভাবে নিয়ে যেতে পারবে না | এইখানেই মাধবের বৈশিষ্ট্য , যিনি মুহুর্তে মানুষ কে সেই ভাবে নিয়ে গিয়ে রোগ-ভোগ-শোক থেকে মুক্তি দেন, এইখানে যারাই আসে , তাদের সবারই এই অভিজ্ঞতা আছে |
২. মাধব কথার স্বাতন্ত্র্যটা কি? – মাধব শোনানোর আছিলায় গ্রহণ করাতে এসেছেন,এটাই স্বাতন্ত্র্য | তাই আমাদের এইখানকার সাধনা হচ্ছে ‘ক্রমে’ চলা , ব্যতিক্রমে থেকে দুরে থাকা | প্রয়োজনে চলা | সব ইন্দ্রিয় কে প্রয়োজনে ব্যবহার করা | সংশোধিত হতে হবে | হাঁটায়, চলায়, বলায়, খাওয়া-দাওয়ায় , একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসতে হবে | শৃঙ্খলার মধ্যে যতক্ষন না আসতে পারবে, ততক্ষন শতবার, হাজারবার , লক্ষ বার ঈশ্বরকে ডাকলেও সেই শৃঙ্খলের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে না |
মাধব বলেছেন, “আমি স্বয়ংসম্পন্ন গুরুরূপে আবির্ভূত হয়েছি, সুতরাং আর কোন গুরুর প্রয়োজন নেই | তিনি বলেছেন আমার সংঘে দীক্ষা থাকবে না ঠিকই, কিন্তু আমার শক্তির শক্তির মাধ্যমে হাজারে হাজারে, লক্ষে লক্ষে মানুষ মাত্র নয়, সমস্ত সৃষ্টি দীক্ষিত হবে | স্ব স্ব প্রকৃতিতে প্রতিষ্ঠিত হবে, দীক্ষিত হবে অর্থাৎ পরিবর্তিত হবে , অর্থাৎ বহির্মুখিনতা থেকে , বিষয়্মুখিনতার থেকে অন্তর্মুখিনতায় যাবে | এই অন্তর্মুখিনতাই হল ঈশ্বরের পথ, যেখানে ‘প্রাপ্তি’ নেই, ‘তৃপ্তি’ আছে |
৩. আমি ‘এক’ – যখন বিশ্বে একই প্রবাহিত হব, বাহিত হব, তখনই বিশ্বে একধর্ম ( মনুষ্যত্ব ), একজাতি (মানুষ বা মানব), একভাষার (অন্তরে ভাব) সৃষ্টি হবে – সত্যযুগের সূচনা হবে |
৪. দেহ থাকতে যদি দেহীর নাম প্রকাশ হয়, তাহলে পূর্ণশক্তি জাগ্রত হয় | তাই “ জয় মাধব নীলাঞ্জন” নামেই শক্তির জাগরণ |
৫. রামকৃষ্ণ বিশ্বজনীন ভাব প্রকাশ করেছেন, আর মাধব বিশ্বজনীন ভাব প্রতিষ্ঠা করবেন | প্রতিষ্ঠা মানে রুপায়ন, আর প্রকাশ মানে রূপায়নের শক্তি যাকে ধরে প্রতিষ্ঠা হবে |
এই বিবেকানন্দ আবার বলে গেছেন ... ভবিষ্যতে এই ভারতে একদিন এমন একটা মন্দির হবে, যেখানে ‘ওঙ্কার’ হবে প্রতীক আর তা হবে “স্বয়ংশক্তি” দ্বারা পরিচালিত | এই “মাধব নিলয়” এর সত্যতা প্রমান করবে |
৬. এমনি জানা বা শোনা এক জিনিষ, আর নিজের জীবন দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা অন্য জিনিষ, এটাই যথার্থ জানা |
৭. বিশ্বক্ষেত্রে, দেহক্ষেত্রে, দেশক্ষেত্রে – যা কিছু করছেন, মাধব করছেন | আমরা সবাই তাঁর হাতের পুতুল – এই বিশ্বাসে গেলে কোন আলোরণই আমাদের অশান্ত করতে পারবে না কিন্তু সঙ্গ করলে এই বিশ্বাসে যেতে হবে |
৮. সময়, ধন, প্রাণ – এই তিনটে যে মাধবের জন্যে , তাঁর সংঘের জন্যে করবে দান , তারই হবে সমাধান |
৯. মাধব সংঘে মানুষের আবিষ্কার করা কোন দেবদেবীর পূজা হয় না, হবে না | মাধব বলেন – আমি স্বতন্ত্র, আমি স্বয়ং এর তন্ত্রে বিশ্বাসী ||
১০.মাধব বলেন – ‘GIVE ME YOUR SOUL, I WILL GIVE YOU WHOLE’
|| জয় মাধব নীলাঞ্জন ||
মাধব –স্ব্য়ং সম্পন্ন অবতারী, পরমচৈতন্য , মাধব স্বয়ং উৎস, তাঁর জগৎকে উৎসের সন্ধান দেওয়াতেই উৎসাহ, আর অন্য কিছুতে নেই | অবতারী একজনই হয়, তবে অবতার অনেক হতে পারে | যে অবতার ধর্মের রাখেন না কোন আকার, বিশ্বজনার, তিনিই অবতার তিনিই অবতারী| যে অবতার – অবতারী জাগ্রত, তিনি নিজেকে জীবের মধ্যে প্রতিফলিত করতে পারেন, বিকিরিত করতে পারেন |
১. মাধব কে? – যে মাতৃশক্তিকে ধপ করে জ্বালাতে পারে, নেভাতে পারে, তিনিই মাধব | তিনি মুহুর্তে সকলকে অন্তর্মুখী করে দিতে পারতেন | তাই নয় শুধু, এখন মাধব দেহে নেই, কিন্তু তাঁর বাণী আছে, ধ্বনি আছে, তাঁর শক্তি আছে | সেই শক্তির মধ্যে যারা আসছে তারা ধীরে ধীরে দেহের মধ্যে ডুব দিচ্ছে | তারা নিজেকে বিচার করছে, তাদের মধ্যে ভাব সঞ্চার হচ্ছে | যে ভাবের মধ্যে এই বিশ্বের মায়ারাজ্য থেকে তুলে এনে, ভাবরাজ্যে সেই মনকে যুক্ত করতে পারছে | অর্থাৎ বিশ্বে সব থেকে কঠিন, এই মনকে অন্তর্মুখী করা | অর্থাৎ সেই পরম ব্যতীত, সেই গুরুশক্তির প্রীতি ব্যতীত, বহির্প্রকৃতি থেকে অন্তর্প্রকৃতিতে প্রবেশ করা সম্ভব নয় | তাই “ গুরুকৃপাহি কেবলম”| সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, মুনি, ঋষি, ত্রিকালজ্ঞ ঋষি আদিরা ঈশ্বরভাবে পৌঁছাতে পারে | যারা ঈশ্বরভাবে পৌঁছায়ে, সে অভাব থেকে মুক্তি পায়, কিন্তু অন্য মানুষকে ভাবে নিয়ে অভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে না | সে ভাবে যাবার পথের উপদেশ, নির্দেশ দিতে পারে কিন্তু ভাবে নিয়ে যেতে পারবে না | এইখানেই মাধবের বৈশিষ্ট্য , যিনি মুহুর্তে মানুষ কে সেই ভাবে নিয়ে গিয়ে রোগ-ভোগ-শোক থেকে মুক্তি দেন, এইখানে যারাই আসে , তাদের সবারই এই অভিজ্ঞতা আছে |
২. মাধব কথার স্বাতন্ত্র্যটা কি? – মাধব শোনানোর আছিলায় গ্রহণ করাতে এসেছেন,এটাই স্বাতন্ত্র্য | তাই আমাদের এইখানকার সাধনা হচ্ছে ‘ক্রমে’ চলা , ব্যতিক্রমে থেকে দুরে থাকা | প্রয়োজনে চলা | সব ইন্দ্রিয় কে প্রয়োজনে ব্যবহার করা | সংশোধিত হতে হবে | হাঁটায়, চলায়, বলায়, খাওয়া-দাওয়ায় , একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসতে হবে | শৃঙ্খলার মধ্যে যতক্ষন না আসতে পারবে, ততক্ষন শতবার, হাজারবার , লক্ষ বার ঈশ্বরকে ডাকলেও সেই শৃঙ্খলের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে না |
মাধব বলেছেন, “আমি স্বয়ংসম্পন্ন গুরুরূপে আবির্ভূত হয়েছি, সুতরাং আর কোন গুরুর প্রয়োজন নেই | তিনি বলেছেন আমার সংঘে দীক্ষা থাকবে না ঠিকই, কিন্তু আমার শক্তির শক্তির মাধ্যমে হাজারে হাজারে, লক্ষে লক্ষে মানুষ মাত্র নয়, সমস্ত সৃষ্টি দীক্ষিত হবে | স্ব স্ব প্রকৃতিতে প্রতিষ্ঠিত হবে, দীক্ষিত হবে অর্থাৎ পরিবর্তিত হবে , অর্থাৎ বহির্মুখিনতা থেকে , বিষয়্মুখিনতার থেকে অন্তর্মুখিনতায় যাবে | এই অন্তর্মুখিনতাই হল ঈশ্বরের পথ, যেখানে ‘প্রাপ্তি’ নেই, ‘তৃপ্তি’ আছে |
৩. আমি ‘এক’ – যখন বিশ্বে একই প্রবাহিত হব, বাহিত হব, তখনই বিশ্বে একধর্ম ( মনুষ্যত্ব ), একজাতি (মানুষ বা মানব), একভাষার (অন্তরে ভাব) সৃষ্টি হবে – সত্যযুগের সূচনা হবে |
৪. দেহ থাকতে যদি দেহীর নাম প্রকাশ হয়, তাহলে পূর্ণশক্তি জাগ্রত হয় | তাই “ জয় মাধব নীলাঞ্জন” নামেই শক্তির জাগরণ |
৫. রামকৃষ্ণ বিশ্বজনীন ভাব প্রকাশ করেছেন, আর মাধব বিশ্বজনীন ভাব প্রতিষ্ঠা করবেন | প্রতিষ্ঠা মানে রুপায়ন, আর প্রকাশ মানে রূপায়নের শক্তি যাকে ধরে প্রতিষ্ঠা হবে |
এই বিবেকানন্দ আবার বলে গেছেন ... ভবিষ্যতে এই ভারতে একদিন এমন একটা মন্দির হবে, যেখানে ‘ওঙ্কার’ হবে প্রতীক আর তা হবে “স্বয়ংশক্তি” দ্বারা পরিচালিত | এই “মাধব নিলয়” এর সত্যতা প্রমান করবে |
৬. এমনি জানা বা শোনা এক জিনিষ, আর নিজের জীবন দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা অন্য জিনিষ, এটাই যথার্থ জানা |
৭. বিশ্বক্ষেত্রে, দেহক্ষেত্রে, দেশক্ষেত্রে – যা কিছু করছেন, মাধব করছেন | আমরা সবাই তাঁর হাতের পুতুল – এই বিশ্বাসে গেলে কোন আলোরণই আমাদের অশান্ত করতে পারবে না কিন্তু সঙ্গ করলে এই বিশ্বাসে যেতে হবে |
৮. সময়, ধন, প্রাণ – এই তিনটে যে মাধবের জন্যে , তাঁর সংঘের জন্যে করবে দান , তারই হবে সমাধান |
৯. মাধব সংঘে মানুষের আবিষ্কার করা কোন দেবদেবীর পূজা হয় না, হবে না | মাধব বলেন – আমি স্বতন্ত্র, আমি স্বয়ং এর তন্ত্রে বিশ্বাসী ||
১০.মাধব বলেন – ‘GIVE ME YOUR SOUL, I WILL GIVE YOU WHOLE’